মধুমতি। আগের সেই ছুটে চলার দিন আজ আর নেই। নাব্যতা হারিয়ে নদীর বুকে
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। পলি জমে উর্বর এ চর হয়েছে
চাষযোগ্য। নদী পাড়ের ভাঙন কবলিত দিশেহারা হাজারো মানুষের স্বপ্নগাঁথা এ চরে
সৃষ্টি হয়েছে সবুজের বিপ্লব। চরের যেদিকে তাকানো যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ
সবুজ দেখা যাবে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত
মধুমতি নদীর পাড়ে গেলে। এ বছর বাদাম চাষ নতুন স্বপ্ন সম্ভারে মাতোয়ারা
করেছে নদী পাড়ের সহস্রাধিক কৃষককে। দিগন্ত বিস্তৃত এ চরে শত শত কৃষক বিঘার
পর বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশের
তেল ও আমিষের ঘাটতি পূরণেও বড় ভূমিকা রাখছে।
মধুমতি নদী পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের দশ হাজার ভাঙন কবলিত কৃষক সর্বস্ব হারিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিল। কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা না থাকায় এক সময় সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশায় কেটেছে তাদের দিন। মধুমতির বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর তাদের এখন আবার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। এসব চরে বাদাম চাষের কারণে নদীভাঙা মানুষের মুখে এখন সুখের হাসি। পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে তাদের জীবনযাত্রায়। কালনা গ্রামের রশিদ মিয়া জানান, “এ বছর ফলন ভাল হইছে। দাম ভাল পাব মনে হয়। আমরা বাদাম বিক্রি করে দুডে পয়সা দেখতি পারবো, ছয়াল মেয়ে নিয়ে প্যাট ভরে খাতি পারব।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ কর জানান, এ অঞ্চলের মাটি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ফলনও ভাল হবে। বাদাম চাষে চাষিদের যেকোনো সমস্যা হলে আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। তারাও আসছে আমাদের কাছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সব মিলিয়ে চরে ২ হাজার হেক্টর আবাদি জমিতে এখন বাদামসহ নানা ফসলের চাষ হয়েছে।
মধুমতি নদী পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের দশ হাজার ভাঙন কবলিত কৃষক সর্বস্ব হারিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিল। কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা না থাকায় এক সময় সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশায় কেটেছে তাদের দিন। মধুমতির বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর তাদের এখন আবার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। এসব চরে বাদাম চাষের কারণে নদীভাঙা মানুষের মুখে এখন সুখের হাসি। পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে তাদের জীবনযাত্রায়। কালনা গ্রামের রশিদ মিয়া জানান, “এ বছর ফলন ভাল হইছে। দাম ভাল পাব মনে হয়। আমরা বাদাম বিক্রি করে দুডে পয়সা দেখতি পারবো, ছয়াল মেয়ে নিয়ে প্যাট ভরে খাতি পারব।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ কর জানান, এ অঞ্চলের মাটি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ফলনও ভাল হবে। বাদাম চাষে চাষিদের যেকোনো সমস্যা হলে আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। তারাও আসছে আমাদের কাছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সব মিলিয়ে চরে ২ হাজার হেক্টর আবাদি জমিতে এখন বাদামসহ নানা ফসলের চাষ হয়েছে।
No comments:
Post a Comment